গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব (GBDC) এর উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ২০২০
নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ সারজীন আহমেদ
বাড়ছে মানুষ,বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, ধ্বংস করা হচ্ছে বন, কাটা হচ্ছে গাছ, অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।
এমনই এক পরিস্থিতি যখন ভাবিয়ে তুলছে বিবেকবানদের, ঠিক তখনই, ফল বৃক্ষে ভরব দেশ, বদলে দেব বাংলাদেশ, দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাঁটি ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব (GBDC) এর উদ্যোগে আয়োজিত বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি জানান দিয়ে গেল এক নতুন আশার।
পরিবেশ আর গাছ নিয়ে ভাবেন এমন হাজারো মানুষের সমাগমে ৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন। ৬ ই জুন রোজ শনিবার বিকেল ৫ টায় সরকারি গৌরনদী কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে চারাগাছ রোপণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব (GBDC) এর উপদেষ্টা প্যানেল এর সদস্যবৃন্দ ডাঃ রাজিয়া সুলতানা (মেডিকেল অফিসার, শেবাচিম) ,
খোকন আহমেদ হীরা, (সভাপতি গৌরনদী প্রেস ক্লাব)
জনাব ওহাব শিকদার,(পরিচালক শিকদার ক্লিনিক গৌরনদী)
আর এম এসকেন্দার,(চেয়ারম্যান শারমিন ক্লিনিক & ডায়াগনস্টিক সেন্টার)।
একটি চারা গাছ রোপন করে কর্মসূচি উদ্ধোধন করেন উপদেষ্টা প্যানেল এর সদস্য বৃন্দরা।
গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব (GBDC) এর সভাপতি কাজী সুজন সকলকে বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ১ টি করে চারা গাছ লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার আহবান জানান।
এবং উক্ত সংগঠন এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম আপন জানান ~ প্রকৃতি মানুষ ছাড়া বাঁচতে পারে, মানুষ প্রকৃতি ছাড়া বাঁচতে পারে না। পৃথিবীর মূল সম্পদ হলো ভূমি, পানি ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য। আর পরিবেশ-বৈচিত্র্যের অন্যতম কারিগর উদ্ভিদ। তাই সবার তরে আহবান আসুন সবাই পরিবেশ রক্ষা করি এবং আমরা বিভিন্ন প্রকার বৃক্ষরোপণ করি পরিবেশ বাঁচাই।
উক্ত কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন সংগঠন এর সিনিয়র সদস্য ইমরান হোসেন,খান আহাদ,ইব্রাহিম শিকদার,মঈন,নিবির মাহমুদ, সারজীন আহমেদ সবুজ,ইব্রাহিম ইসলাম,কাইয়ুম সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর বর্ষায় বৃক্ষরোপণের উপযুক্ত সময় হিসেবে চিহ্নিত করে আয়োজন করে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা। প্রাকৃতিক ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের ভূমিকা যেমন ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী, তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশের ভারসাম্য ও সুষম জলবায়ুর প্রয়োজনে একটি দেশের মোট আয়তনের অন্ত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা আবশ্যক। বৃক্ষহীনতার কারণে পৃথিবীর নতুন নতুন অঞ্চল মরুময় হয়ে পড়ছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, বনের ওপর নির্ভরশীল বিশ্বের প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানবজীবন সমস্যায় পড়তে পারে আগামী শতকের মাঝামাঝিতে।
তিন দশমিক পাঁচ বিলিয়ন কিউবিক মিটার কাঠ ব্যবহার করে প্রতিবছর আট হাজার বর্গহেক্টর বনভূমি ধ্বংস করছে পৃথিবীর মানুষ। বনভূমি ধ্বংস হওয়ার ফলে পৃথিবীর উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিমের বহু বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে।
এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার বিস্তৃত এলাকার মরুময়তা রোধে ২০ হাজার হেক্টর ভূমিতে বনায়ন-বৃক্ষায়ন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় বনভূমি খুব কম। তদুপরি জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বনভূমি কাটার মাত্রাও ক্রমে বেড়ে যাচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য কোনো দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা উচিত।